কালোজিরার উপকারিতা কি কি ? সঠিক উপায়ে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম।
কালোজিরার উপকারিতা কি? সঠিক উপায়ে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম কি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শকরা আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমাদের এই পোস্টে আমরা জানবো
- কারিজিরার উপকারিতা কি কি?
- কালিজরা কিভাবে খেতে হয়?
- কিভাবে কালিজিরা খেলে আপনার উপকারিতা বেশি হবে?
আমাদের প্রিয় নবী করিম (সাঃ) কালোজিরা উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন “ যখন রোগ-যন্ত্রণা বৃদ্ধি পারবে কিংবা চরম পর্যায়ে যাবে তখন এক চিমটি কালোজিরা খেয়ে তার সাথে মধু ও পানি খাওয়ার জন্য বলেছেন ”
কালোজিরা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করে, মস্তিষ্কের স্নায়ক কোষের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে, শরীরের অতিরিক্ত মেয়াদ কমায়,পুরুষের পুরুষাঙ্গ সমস্যা সমাধান করে,ডায়াবেটিস সহ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এছাড়া কালোজিরার আরো অনেক উপকারী দিক আছে যা নিচে সুন্দরভাবে বিস্তারিত দেওয়া আছে সেখান থেকে আপনারা পড়ে নিবেন।
কালোজিরার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা কি কি?
- কালোজিরার তেল নিয়মিত খেলে আপনাদের দেহের ওজন অনেকটা কমে যাবে।
- কালোজিরার নিয়মিত খেলে আপনার রক্তের কোলেস্টেরল অনেক কমে যাবে।
- আপনার যৌন সমস্যা দূর করবে বিশেষ করে আপনি যদি বীর্যের পরিমাণ কম হয়, বীর্যের শুক্রানু গুলো যদি দুর্বল হয়,এবং পুরুষাঙ্গ সমস্যা দেখা গেলে কালোজিরা খাওয়া এবং কালোজিরা তেল মালিশের মাধ্যমে পুরুষের পুরুষাঙ্গের যে কোন সমস্যা খুবই দ্রুত অন্যান্য হারবাল ওষুধের তুলনায় কাজ করবে তাই আপনার যদি কোন যৌন সমস্যা থাকে তাইলে আপনি অবশ্যই কালিজিরা খাবেন এবং কারিজরা তেল মালিশ করবেন।
- রক্তের হিমোগ্লোবি A1C কমে যায়, মানে যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের জন্য কালিজিরা অনেক উপকারে আসবে।
- হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট দূর হবে কালোজিরা সেবন করার মাধ্যমে
- রক্তের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করবে কালোজিরা তেল খাওয়ার মাধ্যমে অথবা আপনি কালোজিরা দানাও খেতে পারবেন
- বাচ্চা হওয়ার পর যদি কোন মায়ের বুকের দুধের ঘাটতি হয় তাহলে কালিজিরার সেবন করার মাধ্যমে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়
- কালিজিরা সেবন করার কারণে আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে
- কালোজিরা সেবন করার কারণে চুল পড়া কমে যায়
- কালিজিরা সেবন করার কারণে মাথাব্যথা কমে
- কালিজিরা শস্য খাওয়া এবং কালিজিরার তেল মুখে দেওয়ার কারণে আপনার ব্রণের সমস্যা দূর হবে
- আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি হবে শুধুমাত্র কালিজিরা খাওয়ার কারণে
- আপনার কিডনির সমস্যার সমাধান করবে কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে
- আপনার চোখের সমস্যা দূর হবে কালোজিরা সাধারণভাবে খাওয়া এবং ভর্তা খাওয়ার মাধ্যমে
- সর্দি জ্বর কমে যাবে কালোজিরা ভর্তা এবং কালোজিরা খাওয়ার কারণে
কালোজিরা কিভাবে খেতে হয়? আর কালোজিরার তেল কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? |
- আপনি কি আপনার দেহের ওজন কমাতে চান তাহলে আপনি নিয়মিত কালোজিরা এবং কালোজিরার তেল দুটি সেবন করলে আপনার দেহের ওজন কমে যাবে।
- আপনি যদি আপনার রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে চান তাহলে আপনি কালোজিরার ভর্তা দিয়ে ভাত খাবেন এবং তার সাথে সকাল বিকাল কালোজিরা ভিজিয়ে রেখে খাবেন তাহলে আপনার রক্তের কোলেস্টেরল কমে যাবে।
- আপনি কি পুরুষ হয়ে থাকেন আপনার পুরুষাঙ্গ যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় কিংবা আপনার দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা, বীর্যের পরিমাণ কম কিংবা বীর্যের শুক্রাণুগুলো সক্রিয় নয়। তাহলে আপনি কালোজিরা ভর্তা খেতে পারবেন কালোজিরা সকাল বিকাল ভিজিয়ে খাবেন এবং তার পাশাপাশি কালোজিরা তেল পাওয়া যায় সেই কালোজিরার তেল আপনার পুরুষাঙ্গে নিয়মিত মাসাজ করবে তাহলে আপনার পুরুষাঙ্গের সমস্যাটা সমাধান হয়ে যাবে।
- আর যাদের ডায়াবেটিস আছে মানে রক্তে হিমোগ্লোবিনে A1C আছে তারা কালোজিরা সেবন করা মাধ্যমে তাদের ডায়াবেটিস কে অনেকটা কমিয়ে আনতে পারবে।
- যাদের চোখের সমস্যা তারা সকাল বিকাল কালোজিরা খেলে কিংবা কালোজিরা ভর্তা খেলে তাদের চোখের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
- শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির প্রতিষেধক হিসাবে আপনারা কালোজিরার তেল কিংবা কালোজিরা খেতে পারবেন।
- মায়ের বুকের দুধের বৃদ্ধির জন্য তাদেরকে ১০ থেকে ১৫ গ্রাম কালোজিরা গ্রুপ করে দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন রাত্রেবেলা খাইয়ে দিলে তাদের বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে।
- যদি মাথাব্যথা হয় তাহলে কালোজিরা সেবনের পাশাপাশি কালোজিরার তেল দুই কানের পাশে থেকে মাথার চারপাশে মাসাজ করলে মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যাবে।
- প্রতিদিন কালোজিরা দুধের সাথে সেবন করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। কালোজিরা সেবন করার কারণে মস্তিষ্কের নিউরনগুলো অত্যন্ত দ্রুত একটিভ হয় যার কারণে লেখাপড়া থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়ে মস্তিষ্কে ভালো মনে থাকে।
- আপনার যদি মাথার চুল পড়ে যায় তাহলে আপনি কালোজিরা তেল আপনার মাথার চুলে দিতে পারেন। কালোজিরা তেল দেওয়ার কারণে আপনার মাথার চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যাটি খুবই দ্রুত সমাধান হবে।
- কালোজিরা ভর্তা কালোজিরা এবং কালোজিরা তেল সেবন করার কারনে আপনার কিডনির কোন রোগ ধরা পড়বে না। আর যদি আপনার কিডনির সমস্যার হয়ে থাকে তাহলে কিডনির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
- কালোজিরা এবং কালোজিরা তেল সেবন করার মাধ্যমে আপনার শরীরে ক্যান্সারের ক্ষতিকর কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত অসুস্থ রোগী তাদেরকে আপনারা নিয়মিত কালোজিরা খেতে দিবেন।
- এছাড়াও উষ্ণ গরম পানি দিয়ে কালোজিরা সেবন করলে কিংবা কালোজিরা চাবিয়ে দাঁতের মাড়িতে রেখে দিলে দাঁতের ব্যথা দাঁত ফোলা এবং দাঁত থেকে রক্তপাতের রোগ সমাধান হবে।
কালোজিরার কোন কোন উপাদান আছে?
কালোজিরা এমন একটি ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন বীজ যে বীজ সেবন করার কারণে আপনি মৃত্যু ব্যতীত সকল মহারক থেকে আরোগ্য লাভ করতে পারবেন এটি আমাদের মহানবী প্রিয় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালাম বলেছেন। কালোজিরা থেকে এক ধরনের তেল উৎপন্ন হয়। সেই কালোজিরয় আছে নাইজেলন,ভিটামিন এ,ভিটামিন সি, ভিটামিন বি,ভিটামিন বি ২,কার্বোহাইড্রেট,ফসফেট,নয়াসিন,আয়ন ও সালফার আছে। এসব উপাদান আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়া কারিজার তেল মূলত তৈরি করা হয় কালোজিরা পিষিয়ে যে তরল পদার্থ বের হয় সেটি কালোজিরার তেল।
কালোজিরা আসলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
আপনি শুধু কালোজিরা খাবেন যখন আপনার রোগ হবে তখন সে রোগ থেকে বাঁচার জন্য সেটি কিন্তু বন্ধুরা করা যাবে না। আপনার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগেই আপনার নিজস্ব প্রতিরোধ সিস্টেম গড়ে তুলতে হবে। আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে আপনি খুব সহজেই যে কোন রোগ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারবেন।কিন্তু আপনি যদি কালোজিরা কিংবা কালোজিরার তেল খাবার হিসেবে গ্রহণ করেন তাহলে এটি আপনার জন্য খুবই উপকারী। কারণ কালোজিরা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাই আপনার শরীলে রোগ প্রবেশ করার আগেই আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে রোগটি জন্মাতে পারবে না।
কালোজিরা হৃদরোগে ঝুঁকি কমায়
আপনি যদি নিয়মিত কালোজিরার সেবন করেন তাহলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কম থাকবে। কারণ যে ব্যক্তি নিয়মিত কালোজিরা সেবন করে বা কালোজিরা তেল সেবন করে। সেই ব্যক্তি কখনো হৃদরোগে আক্রান্ত হবে না। কারণ কালোজিরা আপনার হার্টকে সুরক্ষিত রাখে। যার কারণে হৃদরোগের ক্ষেত্রে কালোজিরার উপকারিতা অপরিসীম।
কালোজিরা আর রসুন এর উপকারিতা কি?
কালোজিরা রসুন উপকারিতা এই দুটি একসাথে খেলে পুরুষের পুরুষাঙ্গ সুগঠিত হয়, বীর্যের শুক্রানু বৃদ্ধি পায়,ধাতু ক্ষয় রোধ হয়,বীর্যের শুক্রাণু সক্রিয় করে। তাই বলতে পারি কালোজিরা আর রসুন এই দুইটি একত্র করে খেলে পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়।
কালোজিরা আর মধু এর উপকারিতা কি?
কালোজিরা হচ্ছে সকল রোগের মহা ঔষধ আর মধু হচ্ছে আল্লাহ প্রদত নাম খ্যাতি পাওয়া শিফা।এই দুটি মহা ঔষধ একসাথে মিক্স করে খেলে আমাদের শরীরে দুই তিন গুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং তার সাথে সাথে সকল রোগ থেকে আমরা মুক্তি পাবো। আমরা আপনাদের বলতে পারি আপনারা কালোজিরা আর মধু এই দুটি বেশি বেশি করে খাব। কালোজিরা আর মধু এর উপকারিতা অনেক বেশি।
টক দই আর কালোজিরা এর উপকারিতা কি?
আপনি যদি টক দই আর কালোজিরা উপকারিতা এই দুটি একসাথে মিক্স করে খেতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই অন্যান্য উপায় এর থেকে এই দুটি খাবার খেয়ে আপনি খুব সহজেই অল্প সময়ে মোটা থেকে চিকন হতে পারবেন। তাই যাদের স্বাস্থ্য একটু বেড়ে গেছে তার টক দয়ার কালোজিরা খেলে আপনাদের শরীরের ওজন দ্রুত কমে যাবে। তাই আপনাদের প্রেফার করছি টক দয়ার কালোজিরা এই দুইটা আপনার খেতে পারেন।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদেরকে কালোজিরা উপকারিতা কি এবং কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে আপনাদের জানালাম। আপনার নিয়মিত কালিজিরা সেবন করলে ইনশাল্লাহ মহান আল্লাহতালা রব্বুল আলামিনের রহমতে মৃত্যু ব্যতীত আপনার সকল রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করতে পারবেন। আজকে আমাদের পোস্টে আমরা যেসব কালোজিরা গুনাগুন সম্পর্কে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম শুধু এই অল্প উপকারিতা কালোজিরা নেই কালোজিরা আরো অনেক উপকারিতা আছে । যা একটি ওই পোস্টে বলে শেষ করা যাবে না। আপনার যদি চান তাহলে আমাদের সাথে কন্টাক করতে পারবেন তাহলে আমরা কালোজিরার উপকারী দিক সম্পর্কে দ্বিতীয় একটি পোস্ট করব । কা লোজিরা উপকারিতা কি এবং কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম পালন করে খাবেন।