এশিয়া মহাদেশের সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু।
এশিয়া মহাদেশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান জানতে এই পোস্টটি পড়ুন। আয়তন, জনসংখ্যা, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, ধর্ম, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও ইতিহাসসহ সবদিক এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। বিসিএস ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য এটি একটি মূল্যবান সংকলন। এছাড়া বিভিন্ন ভার্সিটি ও স্কুল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় এশিয়া মহাদেশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ, কিছু প্রশ্ন আসে সে সকল প্রশ্নের সমাধান আমাদের পোস্টে। এছাড়া এশিয়া মহাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের এই পোস্ট থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।
বিসিএস পরীক্ষা সহজে কোন চাকরির পরীক্ষার জন্য এশিয়া মহাদেশ সম্পর্কে যে সকল সাধারণ জ্ঞান আসে ঐ সকল সাধারণ জ্ঞানের, সকল প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর আমাদের এই পোস্টটি দেওয়া রয়েছে। এশিয়া মহাদেশ সম্পর্কে আপনার সাধারণ জ্ঞান বাড়াতে আমাদের এ ওয়েবসাইটের পোস্টের বিকল্প অন্য কোন পোস্ট নেই। তাই আপনার প্রস্তুতিকে বাড়াতে চাইলে, এখনই আমাদের ওয়েব সাইটের পোস্টটি পড়ে ফেলু্ এবং জ্ঞান অর্জন করুন।
- আয়তন ও জনসংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম মহাদেশ – এশিয়া ।
- এশিয়া মহাদেশের আয়তন – ৪,৪৫,৭৯,০০০ বর্গকিলোমিটার বা ১,৭২,১২,০৪৮ বর্গমাইল (প্রায়)। এশিয়া মহাদেশে স্বাধীন দেশের সংখ্যা – ৪৪টি।
- এশিয়ার সর্বশেষ স্বাধীনতা লাভকারী রাষ্ট্রের নাম – পূর্ব তিমুর (স্বাধীনতা লাভ করে ২০ মে ২০০২)। * আয়তনে এশিয়ার বৃহত্তম দেশ – চীন ।
- চীনের মোট আয়তন – ৯৫,৯৬.৯৬০ বর্গ কি.মি. ।
- জনসংখ্যায় এশিয়ার বৃহত্তম দেশ – চীন ।
- জনসংখ্যায় এশিয়ার ক্ষুদ্রতম দেশ – মালদ্বীপ (জনসংখ্যা ৫ লাখ)।
- মালদ্বীপের মোট আয়তন – ২৯৮ বর্গকিলোমিটার/ ১১৬ বর্গমাইল প্রায় ।
- এশিয়ার সর্বাধিক ঘনত্বের দেশ – সিঙ্গাপুর।
- সাংবিধানিকভাবে এশিয়ার একমাত্র বৌদ্ধ রাষ্ট্র- শ্রীলঙ্কা।
- এশিয়ার অপহরণের নগরী বলা হয় – ফিলিপাইনের ম্যানিলাকে।
- এশিয়ার অধিকাংশ মানুষই যাযাবর – মঙ্গোলিয়ার
- এশিয়া তথা বিশ্বের একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
- এশিয়ার সর্বাপেক্ষা খরস্রোতা নদী – সালউইন নদী (চীন, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত)।
- এশিয়ার খ্রিষ্টান অধ্যুষিত রাষ্ট্র – ফিলিপাইন ও পূর্ব তিমুর ।
- এশিয়ার সর্বপূর্বের বিন্দু – কেপ ডেজনেভ (রাশিয়া)।
- এশিয়ার সর্বপশ্চিম বিন্দু – বেবা অন্তরীপ (তুরস্ক)।
- এশিয়ার সর্বউত্তরের বিন্দু – চেলিউসকিন অন্তরীপ (রাশিয়া)।
- এশিয়ার সর্বদক্ষিণের বিন্দু – পিয়ায়ি অন্তরীপ (মালয়েশিয়া)।
- এশিয়ার সর্বনিম্ন বিন্দু বা স্থান – ডেড সি। ইসরায়েল ও জর্ডান সীমান্তে অবস্থিত (গভীরতা ৩০৪ মিটার)।
- এশিয়া তথা পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ – মাউন্ট এভারেস্ট (উচ্চতা ৮৮৪৮.৮৬ মিটার/২৯০২৯ ফুট)।
- এভারেস্ট শৃঙ্গের নেপালি এবং তিব্বতি নাম যথাক্রমে – সাগরমাতা এবং চেমোলংমা ।
- আয়তনে মধ্য এশিয়ার সর্ববৃহৎ মুসলিম প্রজাতন্ত্র – কাজাখস্তান ।
- এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ – বোর্নিও (ইন্দোনেশিয়া) ।
- এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম উপদ্বীপ – আরব উপদ্বীপ।
- এশিয়ার বৃহত্তম সাগর – দক্ষিণ চীন সাগর ।
- এশিয়ার বৃহত্তম মরুভূমি – গোবি মরুভূমি (মঙ্গোলিয়া-চীন) ।
- এশিয়া তথা বিশ্বের বৃহত্তম টাইডাল বন – সুন্দরবন।
- এশিয়া তথা বিশ্বের বৃহত্তম লবণ হ্রদ কাস্পিয়ান সাগর। এটি ইরান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান, আজারবাইজান ও রাশিয়া সীমান্তে অবস্থিত।
- এশিয়া তথা বিশ্বের গভীরতম হ্রদ – বৈকাল হ্রদ (গভীরতা ১৬৪২ মিটার)।
- এশিয়াকে উত্তর আমেরিকা থেকে পৃথক করেছে – বেরিং প্রণালি।
- এশিয়াকে ইউরোপ থেকে পৃথক করেছে – বসফরাস প্রণালি।
- এশিয়াকে আফ্রিকা থেকে পৃথক করেছে – বাব-এল-মান্দেব প্রণালি ।
- এশিয়ার যে দেশটিতে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি – কাজাখস্তান (দ্বিতীয় জাপান)।
- এশিয়া মহাদেশের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রম করেছে – ৯০° পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা।
- প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস সবচেয়ে বেশি দেখা যায়- এশিয়া মহাদেশে।
- দক্ষিণ এশিয়ার স্থলবেষ্টিত (Land Locked) দেশ – ৩টি। যথা- নেপাল, ভুটান ও আফগানিস্তান ।
- দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ।
- দক্ষিণ এশিয়ার সর্বশেষ স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ।
- জাপান সাগর ও পীত সাগরের মধ্যে অবস্থিত দ্বীপ – কোরিয়া উপদ্বীপ ।
- ডমিনো তত্ত্বটি প্রযোজ্য ছিল – দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে সমাজতন্ত্র রোধের জন্য ।
Read More Category: আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
এশিয়া মহাদেশ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
এশিয়া মহাদেশের সংজ্ঞা
পৃথিবীর সব থেকে বড় মহাদেশ হচ্ছে এশিয়া মহাদেশ। এশিয়া হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে জনবহুল মহাদেশ। এটি ইউরেশিয়া ভূখণ্ডের পূর্ব অংশে অবস্থিত। পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মস্থান এই এশিয়া মহাদেশ।
এশিয়া মহাদেশের বিশ্ব মানচিত্রে অবস্থান
এশিয়া মহাদেশ মানচিত্রের অবস্থান গুলি হলঃ পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর, পশ্চিমে ইউরোপ ও আফ্রিকা, উত্তরে উত্তর মহাসাগর এবং দক্ষিণে ভারত মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত।
এশিয়া মহাদেশের আয়তন আয়তন ও জনসংখ্যা
বিশ্বের বৃহত্তম মহাদেশ
এশিয়ার মহাদেশের মোট আয়তন হচ্ছে প্রায় ৪৪.৫৮ মিলিয়ন বর্গকিমি, যা বিশ্বের মোট ভূভাগের প্রায় ৩০ শতাংশ।
জনসংখ্যার ঘনত্ব ও বৈচিত্র্য
এশিয়া মহাদেশে প্রায় ৪.৭ বিলিয়ন মানুষ বাস করে, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ জনসংখ্যার বেশি। চীন ও ভারত এই দুই দেশের জনসংখ্যাই এশিয়া মহাদেশের জনসংখ্যার বৃহত্তম একটি অংশ।
এশিয়া মহাদেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য
পর্বতমালা ও মালভূমি
এশিয়া মহাদেশে রয়েছে রয়েছে অসংখ্য পর্বতমালা, এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট (৮৮৪৮ মিটার উচ্চতার), আর এই মাউন্ট এভারেস্ট বা হিমালয় পর্বত হচ্ছে পৃথিবীর সবথেকে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ। হিমালয় পর্বতমালা, তিব্বতের মালভূমি, আরাবলি ও বিংহুয়া পর্বতমালা।
মরুভূমি ও বনাঞ্চল
এশিয়া মহাদেশ রয়েছে আছে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মরুভূমি গোবি ও থর, আবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলে রয়েছে ঘন বনাঞ্চল।
প্রধান নদনদী ও হ্রদ
এশিয়া মহাদেশে ছোট বড় অনেক নদ নদীর রয়েছে, এসব নদীর মধ্যে অন্যতম বড় নদী হচ্ছে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, ইয়াংজি, মেকং, আমুর ইত্যাদি। আবার এশিয়া মহাদেশে অনেক বড় বড় হ্রদ, এ সকল হ্রদ গলির মধ্যে সবথেকে বড় হ্রদ হচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর, এরাল সাগর।
এশিয়া মহাদেশের জলবায়ু ও আবহাওয়া
মৌসুমি জলবায়ু
দক্ষিণ এশিয়ায় মৌসুমি বৃষ্টিপাত এ অঞ্চলের কৃষির ওপর বিশাল প্রভাব ফেলে।
উষ্ণ ও শীতল অঞ্চল
উত্তরের সাইবেরিয়া অঞ্চল প্রচণ্ড ঠান্ডা এবং দক্ষিণে রয়েছে গরম ও আর্দ্র জলবায়ু বিশিষ্ট অঞ্চল।
এশিয়া মহাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ
খনিজ সম্পদ
এশিয়া মহাদেশে প্রচুর পরিমাণে খনিজ সম্পদ রয়েছে, এ সকল খনিজ সম্পদের মধ্যে অন্যতম খনিজ সম্পদ হচ্ছে —পেট্রোলিয়াম, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, সোনা, ইউরেনিয়াম ইত্যাদি।
বনজ সম্পদ ও কৃষি
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনাঞ্চল থেকে কাঠ, রাবার, চা, কফি উৎপাদিত হয়। কৃষিতে ধান, গম, চিনি অন্যতম।
এশিয়া মহাদেশের ইতিহাসের প্রেক্ষাপট
এশিয়া মহাদেশের প্রাচীন সভ্যতা
এশিয়া মহাদেশে অনেক প্রাচীন সভ্যতা জন্ম নিয়েছিল, এশিয়া মহাদেশের এ সকল প্রাচীন সভ্যতার মধ্যে অন্যতম সিন্ধু, মেসোপটেমিয়া, চীন ও ফারসী সভ্যতা। বৌদ্ধ, হিন্দু, ইসলামিক সংস্কৃতির শিকড়ও এখানেই।
এশিয়া মহাদেশের উপনিবেশিক ইতিহাস
এশিয়া মহাদেশে বাইরে থেকে অনেক শাসকগোষ্ঠী রয়েছে, বিশেষ করে ভারতবর্ষে ব্রিটিশরা সব থেকে বেশি শাসন করেছে। ব্রিটিশদের শাসনের বয়স প্রায় দুইশত বছর। আর এশিয়া মহাদেশের অন্যতম সবথেকে বৃহত্তম দেশ ভারত মহাদেশে এই ব্রিটিশরা সব থেকে বেশি শাসন করেছে। ব্রিটিশরা ভারতবর্ষের শাসন করলেও ভারতবর্ষের সর্বপ্রথম আসে পর্তুগিজরা, তারা মূলত এসেছিল ব্যবসা করার জন্য। ব্রিটিশ, ফরাসি, ডাচ ও পর্তুগিজদের উপনিবেশিক শাসন এশিয়ার অনেক দেশে ছাপ ফেলেছিল।
এশিয়া মহাদেশের ধর্ম ও সংস্কৃতি
প্রধান ধর্মসমূহ
এখানে ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদি ও কনফুসিয়াস ধর্মের উত্পত্তি হয়েছে।
সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
ভাষা, পোশাক, খাবার, উৎসব ও জীবনধারায় এশিয়ার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য অবর্ণনীয়।
এশিয়া মহাদেশের রাজনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্থা
রাষ্ট্র সংখ্যা ও নাম
এশিয়াতে বর্তমানে ৪৯টি দেশ রয়েছে। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র থেকে শুরু করে চীনের মতো সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাও বিদ্যমান।
জাতিসংঘে সদস্য রাষ্ট্র
সবগুলো দেশ জাতিসংঘের সদস্য নয়, তবে অধিকাংশ দেশ জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত।
এশিয়া মহাদেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্য
শিল্প ও প্রযুক্তি
জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া—এই দেশগুলো প্রযুক্তিতে বিশ্বে শীর্ষে। ভারত তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগামী।
প্রধান অর্থনৈতিক অঞ্চল
চীন, ভারত, জাপান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এশিয়ার অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
এশিয়া মহাদেশের এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা
সার্ক, আসিয়ান, এসসিও
এসব সংস্থা পারস্পরিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এশিয়া মহাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রযুক্তি
উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনে শিক্ষার মান অত্যন্ত উন্নত। আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
প্রযুক্তির অগ্রগতি
এশিয়া প্রযুক্তিতে সেরা উদ্ভাবকদের জন্ম দিয়েছে, যেমন—স্মার্টফোন, AI, রোবটিক্সে অগ্রগামীতা।
এশিয়া মহাদেশের খেলাধুলা ও বিনোদন
জনপ্রিয় খেলা
ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, সুমো রেসলিং, মার্শাল আর্টস এশিয়ার জনপ্রিয় খেলা।
বিনোদন শিল্প
বলিউড, কোরিয়ান ড্রামা, জাপানি এনিমে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়।
এশিয়া মহাদেশের এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর ও স্থান
ঐতিহাসিক ও পর্যটন কেন্দ্র
আগ্রার তাজমহল, চীনের মহাপ্রাচীর, জাপানের কিয়োতো, বাংলাদেশের সুন্দরবন পর্যটনের জন্য বিখ্যাত।
এশিয়া শুধু একটি ভূখণ্ড নয়, এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি, বৈচিত্র্য এবং শক্তির এক অমূল্য ভাণ্ডার। এই মহাদেশে প্রতিটি দেশ, প্রতিটি জাতি নিজস্ব রঙে আলাদা, আবার এক সুতোয় গাঁথা। শিক্ষার্থী হোক বা সাধারণ জ্ঞানপ্রিয় পাঠক—এশিয়া সম্পর্কে জানার আগ্রহ চিরন্তন।