সামাজিক বন (Social Forest)
ধারণা : বসতবাড়ির আশেপাশে, রাস্তার পাশে, পতিত জমিতে, রেললাইনের পাশে, প্রতিষ্ঠানের আশেপাশেসহ বিভিন্ন সামাজিক এলাকায় যে বন গড়ে উঠেছে তাকে সামাজিক বন বলে। সামাজিক বনে বিভিন্ন ফলজ বৃক্ষ যেমন- আম, কাঁঠাল, জাম, নারিকেল, সুপারি, পেয়ারা ইত্যাদি এবং কাষ্ঠল বৃক্ষ যেমন- মেহগনি, সেগুন, আকাশমনি, শিশু, কড়ই ইত্যাদি থাকে। সামাজিক বন সাধারণত মানুষের প্রয়োজনে গড়ে তোলে । ইহা এক ধরনের কৃত্রিম বন বা মানুষের তৈরি বন। সামাজিক বনের বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য বৃক্ষ হচ্ছে কাঁঠাল ।
সাজিক বন (Social Forest) গুরুত্ব:
নিচে সামাজিক বনের গুরুত্ব বর্ণনা করা হলো :
- ফলের চাহিদা পূরণ হয়।
- আসবাবপত্র তৈরির কাঠ পাওয়া যায়।
- ছায়া প্রদান করে পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখে ।
- ঘরবাড়ি নির্মাণের কাঠ পাওয়া যায়।
- ভূমি ক্ষয় রোধ করে ।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করে ।
- জীববৈচিত্র্য রক্ষা হয়।
- গোখাদ্য পাওয়া যায় ।
- কুটির শিল্পের কাঁচামাল পাওয়া যায় । ভেষজ দ্রব্যাদি পাওয়া যায়।
- দ্রুত পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।
- প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে।
- জ্বালানি কাঠ পাওয়া যায় ।
- প্রাকৃতিক দৃশ্য সুন্দর করে।
- আয় বৃদ্ধি করে ।